যেখানে রক্তের পুকুরে গোসল করেন পর্যটকরা
ভ্রমণপ্রেমীরা সচরাচরই ভিন্ন রকমের পর্যটন কেন্দ্র পছন্দ করেন। সর্বদা তাদের চোখ খুঁজে বেড়ায় নতুন কিছু। ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য তেমনই একটি পর্যটন কেন্দ্র হলো জাপানের মিথ্যা রক্তের পুকুর।
রিসোর্টের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বিশাল ভূমধ্যসাগরীয় থিমে তৈরি করা রক্তের পুকুরে সাঁতার কাটা যায় এবং ওয়াইন, কফি বা জাপানিজ খাবার খাওয়ার জন্য রয়েছে রেস্টুরেন্টের সুবিধা।
হট পুল বা ‘ওনসেন’ হলো একটি ঐতিহ্যবাহী স্নানের স্থান, যেখানে অসংখ্য পর্যটক একসঙ্গে গোসল করতে পারেন। এই লাল পানির জলাশয়ের কর্তৃপক্ষের মতে, এখানে স্নানকারীরা রক্তে সাঁতার কাটা উপভোগ করার পাশাপাশি রোমাঞ্চকর স্পাও উপভোগ করে থাকেন। যদিও মিথ্যা রক্তের পুলগুলো একটি সাময়িক আকর্ষণ মাত্র। সূত্র : নিউজহাব
এসআর/পি
মন্তব্য করুন
বিয়ের জন্য মৃত পাত্রের আত্মা চেয়ে বিজ্ঞাপন!
তিরিশ বছর আগে মেয়ের মৃত্যু হয়েছিল৷ মৃত সেই মেয়ের বিয়ে দিতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছে পরিবার৷ মেয়ের আত্মার জন্য উপযুক্ত জামাই আত্মার খোঁজ করা হয়েছে বিজ্ঞাপনে৷ এই ঘটনা বিশ্বাস করতে পারছেন না অনেকেই, আবার অনেকেই হেসে কুল পাচ্ছেন না। আর ভীতদের শিড়দ্বারা দিয়ে বইছে ঠান্ডা স্রোত। ব্যাপারটা আসলে কী? চলুন জেনে নেই আসল রহস্য।
পাত্র চাইয়ের চমকে দেওয়া বিজ্ঞাপনের ঘটনা ভারতের কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার পুত্তুড়ের৷ আত্মার বিয়ে দেওয়া ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের একটি ধর্মীয় রীতি। এই প্রথাকে স্থানীয়রা বলে থাকেন ‘কুলে মাদিমে’ অথবা ‘প্রেত মাদুভে’৷ সপ্তাহ খানেক আগে সংবাদপত্রে ব্যতিক্রমী বিজ্ঞাপনটি প্রকাশিত হয়। যেখানে বর্ণ, গোত্রের উল্লেখ করে মৃত মেয়ের জন্য পাত্রের আত্মার খোঁজ করা হয়েছে। এমন পাত্রের দাবি করা হয়, যিনিও তিরিশ বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন।
তিরিশ বছর আগে মৃত পাত্রীর বাড়ির লোক জানান, বিজ্ঞাপন দেখে কমপক্ষে পঞ্চাশ জন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আগ্রহীদের মধ্যে থেকে কোনও পাত্রকে পছন্দ হলেই রীতি পালনের জন্য দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে৷ পাত্রীর পরিবারের এক সদস্য বলেন, আমরা ভেবেছিলাম হয়তো বিষয়টি নিয়ে অনেকে ঠাট্টা করবেন৷ যদিও তেমনটা ঘটেনি। এমনকী অনেকেই এই বিশেষ রীতিটি সম্পর্ক জানতে চেয়ে ফোন করেছেন।
‘কুলে মাদিমে’ অথবা ‘প্রেত মাদুভে’ রীতির উদ্দেশ্য হলো অবিবাহিত অবস্থায় মৃত পরিবারের সদস্যদের অপূর্ণ ইচ্ছেপূরণ। পছন্দের পাত্র পেয়ে গেলে জীবিতদের মতো সব নিয়ম মেনেই নাকি বিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা মনে করেন, মৃতের বিয়ে দিলে জীবিতদের বিয়ের বাঁধাও দূর হয়। এই ধর্মীয় রীতি বাস্তবেই গল্প-উপন্যাস, এমনকী সিনেমার স্ক্রিপ্টকে হার মানায়।
মানুষের নাকের যত জানা-অজানা
সর্দিকাশি, গন্ধ গ্রহণ থেকে শুরু করে প্রবাদ-প্রবচনে নাকের ভূমিকা গুরুত্ব পায়৷ নাক সম্পর্কে সার্বিক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পেলে সেই ধারণা আরো বদ্ধমূল হয়ে উঠতে পারে৷জগত থেকে সব গন্ধ লোপ পেলে, সব বস্তু নিজস্ব সুগন্ধ হারালে এবং কোনো কিছুরই স্বাদ না পেলে বুঝতে হবে সম্ভবত সর্দিকাশির কারণেই সেটা ঘটছে৷
নাকের কাজই হলো গন্ধ শোঁকা৷ কিন্তু সর্দিকাশি ও অ্যালার্জি নাককে মনে করিয়ে দেয়, যে সেটি ইমিউন সিস্টেমের অংশও বটে৷ নাকের কাজ শ্বাসপ্রশ্বাসের সময়ে বাতাস ফিল্টার করা, তাতে আর্দ্রতা ও উষ্ণতা যোগ করা৷ বাতাসের স্রোতের সঙ্গে আসা বড় কণা নাকের লোমে আটকে পড়ে৷ নাকের ভেতরের অংশের মিউকাস ঝিল্লি আঠালো এক পদার্থ সৃষ্টি করে, যা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের মতো আগন্তুকদের বন্দি করে৷ তার মধ্যে এমনকি অ্যান্টিবডিও রয়েছে, যা প্যাথোজেনকে সরাসরি নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে৷ সে কারণেই সংক্রমণ বা অ্যালার্জি হলে সবার আগে নাকেরই ভোগান্তি হয়৷ শ্বেত রক্ত কণিকা সেখানে সমবেত হয় এবং নাকের মিউকাস মেমব্রেন ফুলে ওঠে৷ এছাড়া সেগুলি আরো বেশি তরল সৃষ্টি করে৷ কোনো এক সময় নাক বন্ধ হয়ে যায়৷ কিছু সময়ের পর সেই অবরোধ উঠে গেলে নাক অবশেষে আবার তার পূর্ণ ক্ষমতা ফিরে পায়৷
অন্য সব সেন্সরি অরগ্যানের তুলনায় নাকের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগ সবচেয়ে নিবিড়৷ ওলফ্যাক্টরি বা ঘ্রাণের স্নায়ু মিউকাস মেমব্রেনের দশ লাখেরও বেশি রিসেপ্টর থেকে পাওয়া সংকেত মস্তিষ্কে পাঠায়৷ বায়ু থেকে একটি অণু কোনো উপযুক্ত রিসেপ্টরে পৌঁছলেই সংকেত সৃষ্টি হয়৷ একাধিক ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ রিসেপ্টরের কল্যাণে আমরা গন্ধ জগতের বিশাল বৈচিত্র্যের স্বাদ নিতে পারি৷ একই ধরনের রিসেপ্টর একই সঙ্গে সক্রিয় হয়ে উঠলে গন্ধ বেশ কড়া হয়ে ওঠে৷ সব সময় সেটা মোটেই সুখকর হয় না৷ তবে শুধু দুর্গন্ধ পেলেই নাক সাড়া দেয় না৷ কখনো সুন্দর রান্নার সুগন্ধ বাতাসে ভেসে এলেও নাক আমাদের খিদে জাগিয়ে তোলে৷ নাক যেহেতু আমাদের জিবের তুলনায় অনেক বেশি গন্ধের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে, সে কারণেই খাবারের স্বাদ অনেক বেশি ভালো লাগে৷
অন্যের কাজে নাক গলানো কথাটার পেছনে কারণ আছে৷ নাক সত্যি অনেক সিদ্ধান্তে নাক গলায়৷ যেমন কোনো বাসা পছন্দ করা বা কাউকে আকর্ষণীয় মনে করার সময়ে গন্ধ আমাদের অনুভূতির উপর অনেক বেশি প্রভাব রাখে, যা আমরা সচেতনভাবে বুঝতে পারি না৷ আমাদের অন্য একটি ক্ষমতার চাবিকাঠিও নাকের কাছে রয়েছে৷ আর সেটা হলো আমাদের স্মৃতিভাণ্ডার৷ সুগন্ধের অভিজ্ঞতা স্মৃতিভাণ্ডারের গভীরে অটুট থেকে যায়৷ সেই স্পষ্ট স্মৃতির সঙ্গে বিশেষ আবেগ জড়িয়ে থাকে৷ এভাবে আমাদের নাক অতীতকে জীবন্ত করে তুলতে পারে৷ তবে স্মৃতিভাণ্ডারে সেই অভিজ্ঞতা প্রবেশের পথে সর্দিকাশি থাকলে চলবে না৷
স্বাস্থ্যকর মিউকাস ঝিল্লি ভাইরাস মোকাবিলা করার প্রথম ঢাল৷ কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে নাকের মিউকাস ঝিল্লির দায়িত্ব পালনের কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়৷
বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ চিত্রশিল্পী ১ বছরের লিয়াম
ঘানার ছোট্ট বাসিন্দা এস-লিয়াম। যিনি গিনেস ওয়াল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নিয়েছে মাত্র ১ বছর বয়সেই। সে এখন বিশ্বের সবচেয়ে কনিষ্ঠ পুরুষ চিত্রশিল্পী। মাত্র ৬ মাস বয়সেই ছবি আঁকার যে ঝোঁক বা ইচ্ছা তা প্রকাশ পেয়েছিল লিয়ামের।
গিনেস ওয়াল্ড রেকর্ডের তথ্য অনুসারে, লিয়ামের বয়স ১ বছর ১৫২ দিন। এস-লিয়াম নানা সাম আঙ্কারাহ এখন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ পুরুষ শিল্পী। সম্প্রতি গিনেস বুক অব রেকর্ডে তার নাম উঠেছে।
পারিবারিক সূত্রের বরাতে আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমের খবরে জানা যায়, লিয়াম মাত্র ৬ মাস বয়স থেকেই ছবি আঁকা শুরু করে। ওই সময় ছবি আঁকার প্রতি তার ইচ্ছা প্রকাশ পায়। লিয়াম তখন হামাগুড়ি দিতেও শেখেনি। লিয়ামের মা চ্যান্টেল একজন শিল্পী। তিনিই ছেলের এই কৌতুহল আর আবেগের দিকে খেয়াল করেন।
লিয়ামের মা জানান, লিয়াম খুব চঞ্চল প্রকৃতির। কখনোই এক জায়গায় স্থির রাখা যেত না তাকে। লিয়ামের মনোযোগ ধরে রাখতে ঘরের মেঝেতে একটি বড় ক্যানভাস দিয়ে বসিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্গে কিছু রং দেওয়া হয়। লিয়াম খেলার ছলে সেই ক্যানভাসে আঁকতে থাকে। অবাক করা বিষয় ছিল যে, সেই আঁকা ছবি দেখে মনে হতো না কোনো শিশুর করা। বরং তা দেখে মনে হতো কোনো শিল্পী রং ছড়িয়ে ক্যানভাসে কোনো গল্প ফুটিয়ে তুলেছে। এখান থেকেই শুরু হয় লিয়ামের পথচলা।
মাত্র ১ বছর বয়সেই অনেক ক্যানভাস রাঙিয়ে ফেলে লিয়াম। অল্পদিনের মধ্যেই ২০টিরও বেশি পেইন্টিং ঘানার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরে প্রথম গ্রুপ প্রদর্শনী, দ্য সাউন্ডআউট প্রিমিয়াম প্রদর্শনীতে অংশ নেয়। ১০টি পেন্টিং বিক্রির জন্য রাখা হয় এবং এর মধ্যে ৯টিই বিক্রি হয়ে যায়।
মা চ্যান্টেল আরও জানান, লিয়াম এখনও পুরোপুরি কথা বলে না। তবে রং নিয়ে খেলতে ভীষণ পছন্দ করে। লিয়ামের এই আগ্রহকে বরাবরই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। তাই নিজের সেরাটা দিতে পারছে লিয়াম।
চ্যান্টেল অন্যান্য শিশুর অভিভাবকদের পরামর্শ দেন, তারাও যেন নিজের শিশুর মনের কথা এবং আগ্রহের বিষয়টি নজরে আনে। তাকে উত্সাহ দেয়। শিশুদের যে কাজই পছন্দ হবে তা যেন তাদের করতে দেওয়া হয়। এতে শিশুদের মানসিক বিকাশ ভালো হয়।